রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ মন্তব্য করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
এ আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, শহীদুজ্জামান সরকার, বেনজির আহমেদ, মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
আলী আশরাফ বলেন, দেশ আজ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। যারা দুর্বৃত্তপনা কথা বলে তারা তাদের নিজেদের চেহারার একবার দেখুক। দেশ আজ দারিদ্র্য বিমোচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত সময়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে দারিদ্র্যের হার কমে গেছে।
তিনি বলেন, এসি রুমে বসে সংবাদ সম্মেলন করে নানা কথা বলছে। একবার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের কথা শুনুন। মানুষ ভালো আছে, স্বস্তিতে আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও সরকার স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছে।
শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, দেশের জনগণ নৌকা মার্কা দেখে, শেখ হাসিনাকে দেখে, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে দেখে নৌকা মার্কায়ভোট দিয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, তার যোগ্য নের্তৃত্ব দেখে মানুষ ভোট দিয়ে বিপুল জয় উপহার দিয়েছে।
সবার অংশগ্রহণে ইনক্লুসিভ নির্বাচন হয়েছে। ভিন্নমত ছিল, ষড়যন্ত্র ছিল, সব অপতৎপরতা ছাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। মানুষ ভোট দিয়েছে, একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন উপহার দিয়েছে।
বিএনপির ভরাডুবির কথা তুলে সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, মুসলিম লীগ ৭০ এর নির্বাচনে ৯টি আসন পেয়েছে। এবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট জোট ৮টি আসন পেয়েছে। ঠিকই তো আছে তারা তো একই লিগেসি বহন করেন। তাদের পাওয়া আসনও কাছাকাছি। এখানে এতো হতাশ হওয়ার কি আছে। নির্বাচনে এ ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল। এ ফলাফল আমাদের কাছে তো বটেই গোটা বিশ্বের কাছে এ ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল।
বেনজির আহমেদ সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাদক আজ সারা দেশে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। এ মাদক দমন করতে হবে। এ মাদক দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবে বলে দেশবাসী বিশ্বাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসকে/এমইউএম/এসএইচ