দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের জিম্মি করে ঘুষ বিনিময়ে দালালরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পকেট ভারি করছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
দুদকের মহাপরিচালক (এনফোর্সসমেন্ট) মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস, নবাবগঞ্জ এবং ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর অধীন পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস, কেরানীগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযানে দুদক টিম দেখতে পায়, নতুন সংযোগ প্রদান, মিটারপ্রাপ্তিসহ বিভিন্ন কাজে দালাল ছাড়া কর্মকর্তারা কোনো কাজ করেন না, ফাইলও নিয়ন্ত্রণ করছে দালালরা।
অভিযানে ছদ্মবেশে গ্রাহক সেজে দুদক কর্মকর্তারা দুই দালালকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুদক টিমের উপস্থিতিতে দুইদিনের অভিযানে দালালদের সঙ্গে যোগসাজশকারী জিএম, ডিজিএমসহ চারজন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রধান ও মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদেরও অনুসন্ধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
আরএম/জেডএস