ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলা ইশারা ভাষার উন্নয়নে পদক্ষেপ জরুরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
বাংলা ইশারা ভাষার উন্নয়নে পদক্ষেপ জরুরি বাংলা ভাষা ইশারা দিবসের র‍্যালির একাংশ, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জাতীয় বধির সংস্থার উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে বাংলা ভাষা ইশারা দিবস। বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি।

২০০৯ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ইশারা ভাষাকে অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। সে বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

দিবস উদযাপনে এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বাংলা ইশারা ভাষা সকলের অধিকার’।

বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামন থেকে র‍্যালি আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। সকাল ৯ টায় র‍্যালি শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের আশপাশের সড়ক ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার র‍্যালির নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও র‍্যালিতে সংস্থার সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া বাকপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

র‍্যালি শেষে আয়োজিত পথসভায় তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বাংলা ইশারা ভাষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

জাতীয় বধির সংস্থা এ দেশে সর্বপ্রথম শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ১৯৯২ সালে বাংলা ইশারা ভাষা ও বিধান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে।

এসময় দেশের বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল চালু করার দাবি জানিয়ে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, দেশের জনগণকে চিকিৎসা দেওয়ায় বিশেষ অবদান রাখছে সরকার। প্রতিটি বিষয়ের ওপর বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু দেশের বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সুবিধার জন্য পৃথক কোনো হাসপাতাল না থাকায় তারা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সুচিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

সভায় সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে এলাহী খান বলেন, ইশারা ভাষা মূলত মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষা। তাই একে সকল ভাষার মাতৃভাষা বলে অভিহিত করা যায়। কিন্তু বিশ্বের শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম ইশারা ভাষাকে আমরা অবজ্ঞা অবহেলা করে আসছি। তাই সার্বিক বিবেচনায় সমাজের সকলকে নিজ প্রয়োজনে এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে ইশারা ভাষা শেখা খুবই প্রয়োজন। তাই এ ভাষার বিস্তার এবং প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম ভাষা হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ায় সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।