সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্নে আমরা মৃত নারীর ঠোঁটে, মুখে আঙ্গুলে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পেয়েছি। একটা আঙ্গুল ভাঙা ছিলো। তাকে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে সম্ভব হয়নি। একাধিক ব্যক্তি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
এর আগে মাহফুজার সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন নিউমার্কেট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কান্তি দে।
তিনি সুরতহালে উল্লেখ করেন, মুখে রক্ত দেখা যায়, হাতের কয়েকটি আঙ্গুলের কালো দাগ আছে। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে স্বামী ও সন্তানরা বাসায় না থাকায়, বাসার কাজের মেয়ে ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
মৃতের স্বামী ইসমত কাদির গামা বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতাল থেকে মরদেহ প্রথমে ইডেন মহিলা কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে বাদ আছর এলিফ্যান্ট রোডের বায়তুল নুর জামে মসজিদে জানাজা সম্পন্ন করা হবে। পরে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এলিফ্যান্ট রোডে নিজের বাসা থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন মাহফুজার গৃহকর্মী।
মাহফুজার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ, তার স্বামীর নাম ইসমত কাদির গামা। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহফুজা চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এজেডএস/এএটি