সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শজিমেক ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারের সময় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।
ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক আশরাফুজ্জামান জানান, দর্শন বিভাগের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বগুড়ার মহাস্থানগড়ে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন।
ফলে দুপুরের খাবারের জন্য তারা শজিমেক হাসপাতালের দোতলায় আকবরিয়া গ্রুপ পরিচালিত ক্যান্টিনে যান। পরে খাবার চলাকালে ক্যান্টিনের কর্মচারীরা ছাত্রীদের খাওয়ার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন।
ঘটনাটি চোখে পড়ার পর ক্যান্টিন কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক রাশেদ বাংলানিউজকে জানান, খাবার শেষ হওয়ায় তাদের দই দেওয়া হয়। কিন্তু দই কম পড়ে যায়। কারণ তারা ১৫০ জন দুপুরের খাবার এখান খাবেন এমন কথা হয়েছিল। অথচ দুপুরের খাবার খান ১৭৪ জন শিক্ষার্থী। এতে করে দই কম পড়ায় তারা ক্যান্টিনে ভাঙচুর চালায়।
এসময় মেডিকেল কলেজের একজন কর্মকর্তা তাদের শান্ত করতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও জানান, পরে আনসার সদস্য ও হাসপাতালের কর্মচারীরা একজোট হয়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের ক্যান্টিন থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পু্লিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরই মধ্যে শিক্ষা সফরের উদ্দেশে আসা শিক্ষার্থীরা মহাস্থানগড়ে চলে যায়।
এদিকে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. গোলাম রসুল তার কক্ষে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষক, পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন।
বৈঠক শেষে শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. গোলাম রসুল জানান, সবপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমবিএইচ/আরবি/