সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিলটি উত্থাপন করেন।
ইপিজেড এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারি করা ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ, ২০১৯’ কে আইনে রূপ দিতে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’ নামে এই বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (বেপজা) ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগ, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিন্ম মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য ও শ্রমিককল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্পসম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন সংশোধন ও সংহত করতে বিলটি আনা হয়েছে।
বিলটি উত্থাপনের আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ইপিজেড শ্রম আইনের মতো একইরকমের একশ’র বেশি আইন এবং অধ্যাদেশ আছে। এই আইনটির কোনো প্রয়োজন নেই। এ সময় তিনি শ্রম আইন-২০০৬ সহ বেশ কয়েকটি আইনের বিষয় উল্লেখ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সংসদ সদস্য নিজেই বলেছেন যে অনেকগুলো অধ্যাদেশ আছে। বিলটি আগে সংসদে আসুক। তারপর আইনের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য থাকলে কিংবা সংশোধনী থাকলে তিনি দেবেন।
বিলটি উপস্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এসকে/জেডএস