বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের সীমানা প্রাচীর ঘেরা নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ঘর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রতন স্থানীয় টাইলস মিস্ত্রি আজম আলীর ছেলে।
নিহতের মা রওশন আরা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রতন স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে ভাত খেয়ে ৪টার দিকে বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর থেকেই তার মোবাইলে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সবাই চারদিকে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পায়নি।
নিহত স্কুলছাত্রের বাবা আজম আলীর অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজু মোল্লার যোগসাজশেই এ হত্যা ঘটে থাকতে পারে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজু মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতাও নেই। আজমের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও বানোয়াট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে কালীগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নামার মুহুর্তে নির্মাণাধীন ওই বাড়ির প্রাচীরের নিচে চোখ যায়। এসময় হাত-পা ছড়ানো ও মাথার উপর ইট চাপায় ঢেকে থাকা মরদেহ দেখতে পায়। এরপর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুায়ারি ১৩, ২০১৯
এনটি