বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ। এর আগে বুধবার দুপুরে হামলার শিকার হন তিনি।
এরশাদ ও বাচ্চু উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বৈষ্টবপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এএসএম রাজু বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এরশাদের মালয়েশিয়া প্রবাসী ছোট ভাই নাসির উদ্দিনের বাড়ি তৈরির জন্য স্তূপ করে রাখা বালু নিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ভাই বাচ্চু। তা দেখে তাদের বাবা মর্তুজ আলী তাকে বালু নিতে নিষেধ করলে বাচ্চু তার বাবার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে এরশাদ এগিয়ে এসে বাবাকে সরিয়ে নিতে চাইলে বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে এরশাদ আলীর বুকের বাম দিকে বল্লম (দেশি অস্ত্র) দিয়ে কোপ দেন। এ অবস্থায় এরশাদকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এএসপি আরো জানান, ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাচ্চু পালিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, এরশাদরা ছয় ভাইয়ের সবাই প্রবাসী। এর মধ্যে এরশাদ ছিলেন ব্রুনাই প্রবাসী। বাচ্চুসহ অন্য ভাইয়েরা সৌদি এবং মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে থাকেন। কিছুদিন আগে বাড়ি আসেন এরশাদ এবং বাচ্চু।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসআই