ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দুর্নীতিতে বেহাত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
১০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দুর্নীতিতে বেহাত

ঢাক‍া: ১০০ কোটি টাকার ভূমি বেহাত গৃহায়নের দুর্নীতিতে। চট্টগ্রামের ফিরোজ শাহ এস্টেটের ৩০৮ কাঠা জমি অনিয়মের মাধ্যমে ২৮ জনের কাছে বরাদ্দ দিয়ে এ দুর্নীতি করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রামের ফিরোজ শাহ এস্টেটের ৩০৮ কাঠা জমি বেআইনিভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬- এ এমন অভিযোগ আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে একটি দল এ অভিযান চালায়।   

অভিযানে উঠে আসে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রামে ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটের জমি থেকে ৫ দশমিক ১৩ একর জমি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নয় মর্মে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী কর্তৃক এনওসি দেওয়ার মাধ্যমে বেহাত করা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক এ অনাপত্তিপত্র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বরাবর পাঠানো হয়। অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ওই জমির নতুন খতিয়ান তৈরি করে ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনা পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার ওই জমি ২৮ জন বরাদ্দ গ্রহীতার নামে নামজারি করেন। এর ফলশ্রুতিতে ১০০ কোটি টাকার অধিক মূল্যবান এ সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়।

দুদক দল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রেকর্ডপত্র পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে এসব তথ্য সম্পর্কে অবহিত হয়। সরকারি জমি বেহাত হওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুব শিগগিরই জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে দুদকে নথিপত্র পাঠানো হবে মর্মে দুদক দলকে জানানো হয়।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, সরকারি সম্পত্তি নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা রোধে দুদক কঠোরভাবে তৎপর রয়েছে। এ ঘটনার ওপর দুদক শিগগিরই অনুসন্ধান শুরু করবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
আরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।