শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এর আগে দুপুর পৌনে ১টায় আল মাহমুদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে।
আল মাহমুদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মৌরাইল গ্রামে। তবে কবির রাজধানীর মগবাজারের বাসা হয়ে তারপর মরদেহ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হবেন স্বজনরা।
সেখানে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন>>> রোববার নিজ গ্রামে শায়িত হবেন কবি আল মাহমুদ
কবিকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে কি-না, সে বিষয়টিও এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমিতে তার মরদেহ নেওয়া হয়।
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অনুমতি চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের কাছে আবেদন করেছেন কবির পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, তারা অনুমতির জন্য এসেছেন। উপাচার্য এখনও সিদ্ধান্ত জানাননি।
প্রেসক্লাবে প্রথম জানাজা শেষে কবির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহসহ সাংবাদিক, লেখক, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি আল মাহমুদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
কবি আল মাহমুদের প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। ১৯৩৬ সালরে ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আল মাহমুদ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তির পর ৯ ফেব্রুয়ারি কবিকে প্রথমে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তিনি ওই হাসপাতালের নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। পরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হন তিনি।
ডা. আব্দুল হাই জানান, কবির নিউমোনিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে বেড়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে প্রেসার কমে যেতে শুরু করে। তবে ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
এরপর রাতে হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তখন হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে প্রেসার মেইনটেন হয় না। তখন ব্রেইন, কিডনি অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হলে মানুষ ক্লিনিক্যালি মারা যায়। তারও সেটাই হয়েছে।
সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
ডিএসএস/টিএ