ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

না’গঞ্জে কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার ২২ জনের জামিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
না’গঞ্জে কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার ২২ জনের জামিন বায়ে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না ও ডানে কবির হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হেসেন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নাসহ গ্রেফতার ২২ জনকে উভয়পক্ষের আপসনামার ভিত্তিতে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

নাসিকের নলুয়া এলাকায় একটি মসজিদের কমিটির বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষে মামলা দায়ের করেন কাউন্সিলর কবির ও সাবেক কাউন্সিলর মুন্না।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ভোরে নারায়ণগঞ্জের নলুয়া এলাকা থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।  

জানা যায়, নাসিকের ১৮নং ওয়ার্ডে নলুয়া জামে মসজিদ কমিটি নিয়ে বেশকয়েকদিন ধরেই বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেনের সঙ্গে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার বিরোধ চলছিল।

সূত্রে জানা যায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের নলুয়া এলাকার একটি মসজিদে উন্নয়নমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার সভাপতিত্বে মসজিদ কমিটির সভা চলছিল। সভা চলাকালীন সময় বর্তমান কাউন্সিলর কবিরের ভাগ্নে টিপু (৩৫) মসজিদের হিসাব-নিকাশ দেখতে চান। এ সময় সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার লোকজনের সহায়তায় টিপুকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে টিপু তার লোকজনকে একত্রিত করে এবং কাউন্সিলর কবিরকে খবর দেন। এ সময় মুন্নার ভাই রাজিবুল হাসান রানা (৩৮) তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর জের ধরে দিনগত রাতে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় পক্ষের মুন্না ও কাউন্সিলর কবিরের সমর্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। এছাড়াও কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। রাতেই সদর মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। সদর থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার বিরুদ্ধে কবির বাদী হয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয় মুন্না ধারালো ছুরি দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছেন। এ মামলায় মুন্না, রকিবুল হাসান লিয়ন, হুমায়ন কবির ও শ্যামল শীলকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।  

এদিকে সাবেক কাউন্সিলর মুন্না বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় কাউন্সিলর কবির, বিপু, কালা ফারুক, আমিন, ওবায়দুল্লাহ, সাহবুদ্দিন, সুজন মিয়াসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয় কবির ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করেছেন। এ মামলায়ও পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মসজিদের টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ দুই পক্ষের অভিযোগ গ্রহণ করে উভয় পক্ষের ২২ জনকে গ্রেফতার করে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।