২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিং (চট্টগ্রাম) থানায় দায়ের করা মামলায় (মামলা নং- ২৯) এ চার্জশিট দেওয়া হলো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
আসামি (১) দিলরুবা খানম ও তার স্বামী আবু মো. নুরুল ইসলাম চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ হাইজিং সোসাইটির বাসিন্দা।
দুদকের তদন্তে দেখা যায়, আসামি দিলরুবা খানম নিজ নামে আয়কর নথি অনুযায়ী দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ৪৮ লাখ ৮ হাজার ৬৬৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫০৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ও মামলা তদন্তকালে তার নিজ নামে ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৩ টাকার স্থাবর ও ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৮২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করেন।
এছাড়া আয়কর নথি অনুযায়ী দিলরুবা খানমের ৮ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৫ টাকার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায়। তিনি একজন গৃহিণী। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য কোনো আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। তিনি তার স্বামীর অবৈধ আয়ের উৎস নিয়ে নিজ নামে উক্ত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে তদন্তে উঠে এসেছে।
তিনি হিসাব বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ-দখল করে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
অন্যদিকে আসামি দিলরুবা খানমের স্বামী আবু মো. নুরুল ইসলাম, (সাবেক উপসচিব, অবসরপ্রাপ্ত) চাকরিকালীন অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে নিজের নামে সম্পদ অর্জন না দেখিয়ে নিজে অপরাধের দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী দিলরুবা খানমের নামে সম্পদ দেখান। এই অপরাধের প্রমাণ তদন্তে পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দ-বিধির ১০৯ ধারায় শিগগিরই সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
আরএম/এএ