মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। এর আগে তদন্ত কমিটির সদস্য আল মাহমুদ ফাইজুল কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আল মাহমুদ ফাইজুল কবির বলেন, মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় নিহত ও আহতদের সহায়তা করতে সরকারকে সুপারিশ করবে। এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডে যারা গৃহহীন হয়েছেন ও যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে পুনর্বাসনের সুপারিশ করা হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপী যতো মানবাধিকারের কথা বলা আছে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে মানুষের জীবনের অধিকার। এরপরেই মানুষের সম্পত্তির অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানেও এ দু’টি প্রধান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের এ দু’টি অধিকারই বিঘ্নিত হয়েছে।
‘অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ২১ তারিখ সকালেই চকবাজার এলাকা পরিদর্শন শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। সে অনুযায়ী আমাদের তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। তাই এখনই পুরো ঘটনার বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না’।
এখানে ভবনগুলো ইমারত বিধিমালা মেনে করা হয়েছে কিনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে পরিবেশ অধিদফতর কিংবা ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা আমরা খতিয়ে দেখবো। ঘনবসতিপূর্ণ একটি স্থানে কোনো অব্যবস্থাপনার কারণে, নাকি রাসায়নিক কারণে আগুনের এতো ব্যাপ্তি ছিলো, বিষয়গুলো আমরা দেখবো বলেও জানান আল মাহমুদ ফাইজুল।
এছাড়া, কারো ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় নাকি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণের বিষয় ছিল, প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের কথাও জানান তিনি।
এ দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্র যেভাবে এগিয়ে এসেছে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেও সেভাবে এগিয়ে আসবে আশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এখানে রাসায়নিক কারখানা থাকলে সেগুলো বিধিমালা মেনে করা হয়েছিল কিনা আমরা দেখবো।
জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ ও করণীয় নির্ধারণ করে ৩০ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানান তদন্ত কমিটির সদস্য আল মাহমুদ ফাইজুল কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
পিএম/জেডএস