ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইকো পার্কে মারা গেছে হাজারো পাখি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
ইকো পার্কে মারা গেছে হাজারো পাখি মারা যাওয়া পাখিগুলো। ছবি: বাংলানিউজ

নড়াইল: টানা দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামের 'কৃষি পর্যটন কেন্দ্র অরুনিমা ইকো পার্কে' মারা গেছে হাজারো দেশি সাদা বক ও কিছু পরিযায়ী পাখি।

কৃষি পর্যটন কেন্দ্র অরুনিমা ইকো পার্কের সত্ত্বাধিকারী ইরফান আহম্মেদ জানান, সারাদেশের মতো নড়াইলেও সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।

আর এই শিলের আঘাতে পার্কে অবস্থানরত হাজার হাজার পাখি মারা যায়। পার্কে কর্মরত শ্রমিকরা মারা যাওয়া পাখিগুলো একত্রিত করছে। পরে মাটি খুঁড়ে পাখিগুলো পুঁতে রাখা হবে।  

পানিতে ভেসে রয়েছে মারা যাওয়া পালিগুলো।  ছবি: বাংলানিউজনড়াইলের কালিয়া উপজেলার কৃষি পর্যটন কেন্দ্র অরুনিমা ইকো পার্কের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছরই শীত মৌসুমসহ বছরের ৮ মাস বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত থাকে এই পার্কটি। এবছরও মৌসুমের শুরুতেই (অক্টোবরের প্রথম থেকে) পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামটি। পাখি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করায় একযুগ আগে থেকেই এলাকাটির পরিচিতি পাখি গ্রাম নামে। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকেলে গাছের ঢালে বসতে থাকে এসব পাখি। রাত যত গভীর হয় পাখিদের আগমনও বাড়তে থাকে। সারারাত পাখির কলতানে মুখরিত থাকে পুরো এলাকা। গত দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে সেটা অপূরণীয়।

জড়ো করে রাখা হয়েছে মরা পাখিগুলো।  ছবি: বাংলানিউজএখানে প্রায় ৬০ একর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কয়েক হাজার বাসস্থান। এখানে বক, হাঁসপাখি, পানকৌড়ী, শালিক, টিয়া, দোয়েল, ময়না, মাছরাঙা, ঘুঘু, শ্যামা, কোকিল, টুনটুনি, চড়ুইসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির রাজত্ব।  

প্রতিদিন হাজার হাজার পাখির প্রজনন ঘটছে। ডিম থেকে ফুটছে বাচ্চা। বর্তমানে দেশের একমাত্র এই কৃষি পর্যটন কেন্দ্রটি পরিণত হয়েছে পাখির অভয়ারণ্যে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।