ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমরা পাওয়ারফুল লিডারশিপ পেয়েছি, এগিয়ে যাবো

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
আমরা পাওয়ারফুল লিডারশিপ পেয়েছি, এগিয়ে যাবো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: পাওয়ারফুল লিডারশিপ কনসেপ্টে গণতন্ত্র পুরোপুরি কার্যকর হয় না, তবে উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, আমরা পাওয়ারফুল লিডারশিপ পেয়েছি, আমরা এগিয়ে যাবো।

রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্টপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ফখরুল ইমাম এ মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, বিশ্বে পাওয়ারফুল লিডারশিপ এখন নতুন কনসেপ্ট।

এই কনসেপ্টে দেশে গণতন্ত্র পুরোপুরি কার্যকর নয়, কিন্তু উন্নয়ন পাওয়া যায়। গত ১০ বছর ধরে আমরা পাওয়ারফুল লিডারশিপ পেয়েছি। রাশিয়া ভেঙে যাওয়ার পর সেখানকার বিভক্ত স্টেটগুলো বললো তারা সমাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে যাবে। তারা গণতন্ত্রের সাধ নেবে। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্র আসেনি। তারা বেছে নিলো পাওয়ারফুল লিডারশিপ পুতিনকে, তারা পুতিনকে ভোট দিলো। সেখানে উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সামনে পাওয়ারফুল লিডারশিপ আছে। আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো।  

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের আগে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এই আইনটি পাসের আগে আইনমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছিলেন ৩২ ধারায় যদি কোনো সাংবাদিক মামলার শিকার হন তাহলে তিনি নিজে সহযোগিতা করবেন। আজ সাংবাদিক আবু জাফর জেলে আছেন। আমি জানি না আইনমন্ত্রী তাকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন কি না। আইনমন্ত্রী এই সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন কোনো সাংবাদিক এই আইনে হয়রানির শিকার হলে তিনি আইনি সহায়তা দেবেন, জানি না শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে।

ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, ব্যাংক খাতকে যদি অর্থনীতির হৃদপিণ্ড মনে করি তাহলে সেখানে রক্তক্ষরণ ঘটছে অনেকদিন ধরে। দেশে ৫৯টি ব্যাংক কার্যকর রয়েছে। এরমধ্যে ৪১টি বেসরকারি ব্যাংক এবং ৯টি সরকারি ও ৯টি বিদেশি ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বরের হিসেবে রাষ্ট্রখাতের ৯ ব্যাংকে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৪৭৪ কোটি। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৯ হাজার ৯৭৬ কোটি। মোট ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।  

বক্তব্যে তিনি মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ধীরগতির সমালোচনা করে বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পের ব্যয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। পদ্মাসেতু প্রকল্পে এ পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে ১৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা এবং এবছরে ব্যয় করতে হবে ৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৫২ শতাংশ। আরেক প্রকল্প মেট্রোরেল। এই প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি। এখন পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে ২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা।  অগ্রগতি মাত্র ১৩ শতাংশ। মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ব্যয় ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি, এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এবছর খরচ করতে হবে ২ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের অগ্রগতি  মাত্র ১৪ শতাংশ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯ 
এসকে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।