ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিববর্ষ-সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে শাহরিয়ার কবিরের প্রস্তাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৯
মুজিববর্ষ-সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে শাহরিয়ার কবিরের প্রস্তাব

ঢাকা: ২০২০-২১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে সরকারিভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীও উদযাপন করা হবে। মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে একটি নাগরিক কমিটি গঠনের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কমিটি কী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে-এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায় নি। বাংলাদেশের ইতিহাসের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই দু’টি বর্ষ জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সরকার, নাগরিক সমাজ এবং প্রবাসী বাঙালিরা কীভাবে উদযাপন করতে পারেন, সে বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

যার মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, মারাঠী, গুজরাটি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম, পাঞ্জাবি, উড়িয়া, কন্নড়, মৈথলী, উর্দু, অহমিয়া প্রভৃতি ভাষায় প্রকাশিত এতদসংক্রান্ত লেখা সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। এসব ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা ১১০ কোটিরও বেশি। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১৯৭১ সালে যে সব লেখা প্রকাশিত হয়েছিল-মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং ৭১-এর গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে তা অসামান্য অবদান রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এসব লেখা পুনঃপ্রকাশ এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুনভাবে জানতে পারবে স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতির অসামান্য বীরত্ব ও আত্মদান সম্পর্কে। যা সেই সময় সমগ্র বিশ্বের স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছিল। বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে পারে। যেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা যেতে পারে। এ বিষয়ে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

শাহরিয়ার কবির তার লিখিত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য আরও ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে।

এসময় অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ লতিফ, সংগঠনের নেতা ক্যাপ্টেন শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক মো. সেলিম, জান্নাতুল ফেরদৌসী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ০৭ মার্চ ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।