৩৫০০ কিলোজুল, ২৪০০ কিলোজুল ও ১৯০০ কিলোজুল ক্ষমতার তিনটি হাইড্রোলিক হ্যামার মেরামত করার পর পিলারের পাইলিং ফের শুরু হবে। তবে তা কবে নাগাদ ঠিক হবে তা জানাতে পারেননি প্রকৌশলীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বর সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন এসব হ্যামারের এককেটি দুই লাখবার পাইলের ওপর ব্লো (আঘাত) করার পর সার্ভিসিং করতে হয়। আর আট লাখ ব্লো করার পর অনেক যন্ত্রাংশ বদল করতে হয়। এর আগেও কয়েকবার হ্যামারগুলো নষ্ট হয়েছিল। পদ্মাসেতুর জন্য মোট পাঁচটি হ্যামার আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’টি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি তিনটি দিয়ে কাজ চলছিল। কয়েকদিন আগে সেগুলোতে সমস্যা দেখা দেয়। হাইড্রোলিক হ্যামারগুলো ঠিক করতে জার্মান প্রকৌশলীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, এমএনসিকে (MNCK) কোম্পানির হ্যামারগুলো ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। পদ্মাসেতুর কাজ শেষে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিজেদের হ্যামারগুলো নিয়ে যাবে। জার্মান থেকে আনা ২৪ জন টেকনিশিয়ান হ্যামারগুলো চালান।
মূল সেতুর প্রকৌশল সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, মাওয়া ও জাজিরায় আটটি স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতুর ১২০০ মিটার। সেতুর ২১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। পাইল ড্রাইভিং এর কাজ চলছিল সেতুর ৬,৭,৮,১০,৩০ নম্বর পিলারে। পদ্মাসেতুর ২৬২টি পাইলের মধ্যে এ পর্যন্ত ২০৯টি পাইল বসানো হয়েছে। বাকি ৫৩টি পাইল বাকি। এরই মধ্যে স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতিতে বসানো হয়েছে ১৮টি পাইল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এসআই