তিনি বলেছেন, কমনওয়েলথ দিবস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ আমরা এই বছর লন্ডন ঘোষণাপত্রের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি। ৭০ বছর আগে এই দিনে কমনওয়েলথের দেশগুলো স্বাধীন এবং পরস্পর সমান সদস্য হিসেবে একত্রিত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মত হয়েছিল।
১১ মার্চ কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় ব্রিটেনের রানী এসব কথা বলেন। ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এ কথা জানিয়েচে।
কমনওয়েলথ দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় রানী এলিজাবেথ বলেন, আজ বিশ্বব্যাপী লাখো কোটি মানুষ কমনওয়েলথের সমষ্টিগত মূল্যবোধের কারণে একত্রিত। গতবছর এপ্রিল মাসে, আমি কমনওয়েলথের ৫৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কমনওয়েলথ প্রধানদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্যে বাকিংহাম প্যালেস ও উইন্ডসর ক্যাসেলে আমন্ত্রণ জানাই।
‘এই সভার মাধ্যমে আমরা দেখেছি কীভাবে কমনওয়েলথের লক্ষ্য আমাদের মাঝে আশার সঞ্চার করে এবং আমাদের এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখার উপায় খুঁজে বের করতে অনুপ্রাণিত করে। আমি সেসব সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি যেখানে আমরা অবদান রেখেছি। আমাদের মাঝে বিদ্যমান এই সংযোগগুলোর ফলস্বরূপ আমরা অধিক আত্মবিশ্বাস ও আশাবাদ নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো। ’
ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ বলেন, ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সময়গুলোতেও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রজন্ম কমনওয়েলথের প্রতি তাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে- সব মঙ্গলজনক কাজের প্রতিশ্রুতির জন্যে কমনওয়েলথ সুপরিচিত তা এখনও সম্পূর্ণভাবে অর্জিত না হলেও আজ কমনওয়েলথ বিদ্যমান থাকার প্রভাব দৃঢ়ভাবে প্রতীয়মান।
তিনি বলেন, আমরা কমনওয়েলথ বিদ্যমান থাকার ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাই কারণ সব অঙ্গনের মানুষ নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে একটি সংযুক্ত কমনওয়েলথের অংশ হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করার নতুন নতুন উপায় বের করছে। এই কমনওয়েলথ দিবসে আমি আশা করি যে, আরো অনেকেই কমনওয়েলথের অংশ হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
টিআর/এমএ/