নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে মহানগরের পিকচার প্যালেস মোড়ে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নিসচার জেলা সভাপতি মো. হাছিবুর রহমান হাছিবের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নিসচার জেলা উপদেষ্টা ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
নিসচার জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লবের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল সিংহ রায়, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান বাবু, এনসিআরবির খুলনা জেলার মহাসচিব এম এ কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. ইলিয়াস, বাগেরহাট জেলা ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শেখ মফিদুল ইসলাম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, লবনচরা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন তুহিন, ইউনি ভিশনের নির্বাহী ব্যবস্থাপক হেলাল হোসেন, সামাজিক সংগঠন গতির সহ-সভাপতি আনোয়ারা পারভিন আক্তার পরি, নিসচার জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ রহিম, দফতর সম্পাদক এম মোস্তফা কামাল, সদস্য রাকিব উদ্দিন ফারাজী, ফিরোজ আলী, এম সাইফুল ইসলাম, ইশরাত আরা হীরা, মাহমুদা আক্তার লিজা, আনোয়ারা আক্তার পারভিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বন্ধ খুলনা-কলকাতা রুটের বাস চলাচল। সর্বশেষ খুলনা থেকে সরাসরি কলকাতা সৌহার্দ্য যাত্রা করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর। ফলে দুই বাংলার যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন।
তারা জানান, ২০১৭ সালের ২২ মে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাস দিয়ে কমলাপুর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রা শুরু হয়। এদিন কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা সৌহার্দ্য শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে খুলনা হয়ে ঢাকায় যায়।
এর আগে ৮ এপ্রিল নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা-কলকাতা রুটে বাস ও ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এছাড়া ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-মাওয়া-গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা হয়ে কলকাতাগামী শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস চলাচল শুরু হয়। এ রুটে পরিবহনটি চালু হওয়ায় যাত্রীরা স্বল্প সময়ে কলকাতার উদ্দেশে যাতায়াত করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু একই বছরের এপ্রিল মাসে বন্ধ হয়ে যায় এ রুটের পরিবহনটিও।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খুলনা-কলকাতা রুটে বাস চালুর মধ্য দিয়ে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে খুলনার যাত্রীরা দিনে দিনে কলকাতা গিয়ে কাজ সেরে আবার সেদিনেই ঘরে ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে রোগী, পর্যটক, ব্যবসায়ী কলকাতায় পৌঁছে যেতো। এর মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্যে আরও বেশি সম্প্রসারণ ঘটছিল। কিন্তু কোনো নির্ধারিত কারণ ছাড়াই ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (ডব্লিউবিটিসি) অধীনে পরিচালনাকারী সৌহার্দ্য শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ। রোড পারমিটের চুক্তির মেয়াদ থাকতেও দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা এ পরিবহন বন্ধ রাখছে বাস মালিকপক্ষ। যা খুলনাবাসীর জন্য দুঃখজনক।
এছাড়া বক্তারা খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে তিন দিন করা ও খুলনা মহানগরে বন্ধ বিএরটিসির দোতলা বাস চালুর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/