হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিখিল ভট্টাচার্য্য বাসায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্বামী শিবানন্দ এসব কথা বলেন।
দীর্ঘায়ুর বিষয়ে স্বামী শিবানন্দ বলেন, ‘ওষুধ রোগ সৃষ্টি করে। বাঁচতে হলে ওষুধ ছাড়তে হবে। পরিমিত আহার, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সু-শৃঙ্খল জীবন-যাপন করলে নিজেকে রোগমুক্ত রাখা যায়। সেক্ষেত্রে আমাকে সবাই অনুসরণ করতে পারেন ১২৩ বছর বয়সে কখনো আমি ওষুধ সেবন করিনি। ’
খুবই স্বল্পভাষী এ প্রবীণ আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মহাত্মা গান্ধী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেখা হয়েছিল, তবে যেহেতু তাদের এবং আমার কাজের ক্ষেত্র ভিন্ন, তাই তেমন একটি ঘনিষ্ঠতা হয়নি’।
ভারতীয় পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যমতে, ১৮৯৬ সালের ৮ আগস্ট তিনি হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হরিপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন। শিবানন্দ ঠাকুরবাণী বংশের দশম পুরুষ তিনি। ১৯০১ সালে তিনি ভারতের নবদ্বীপে স্থায়ীভাবে চলে যান। শিক্ষাজীবনে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে ১৯২৫ সালে লন্ডনে চলে যান এবং সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ইউরোপের প্রায় সব দেশসহ অর্ধশতেরও বেশি দেশ তিনি ভ্রমণ করেছেন।
হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিখিল ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা যাতে তার পূরণ হয় সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। তিনি মানুষের মাঝে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজেন। মানুষের সেবা এবং স্রষ্টার প্রার্থনাই তার ব্রত’।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
জিপি