ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রার পথে বাংলাদেশ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রার পথে বাংলাদেশ সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে মহানগরীর কুমারপাড়া মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়

রাজশাহী: দেশ স্বাধীনের পর সুবিবেচনাভিত্তিক কৃষি ও শিল্পনীতির আলোকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অপশক্তি তাকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের পথ থেকে সরে এসেছিলাম। বহু বছর এবং বহু সংগ্রাম ও ত্যাগের পর আমরা আবার তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অভিযাত্রার পথে ফিরে আসতে পেরেছি। 

রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান এই অভিমত প্রকাশ করেন।  

রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ১২টায় নগর ভবনের গ্রিনপ্লাজায় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্য, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্যের অভাব, জনসম্পদের দক্ষতার ঘাটতির মতো কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা আশাবাদী যে একটি গতিশীল ও বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ হিসেবেই আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে পারবো। আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতিকে আমরা একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পেরেছি।  

‘এই শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেখিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আশা রাখি। তবে এজন্য অবশ্যই সামাজিক-রাজনৈতিক এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। এই মহা স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কেবল অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই। ’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস যুদ্ধের পরে বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে যান, একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি, ভৌগোলিক অবস্থানসহ, একটি জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে- কবিগুরু রবীন্দ্রাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। যে পরিচয় শুধু গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের মানুষই নয়, পৃথিবীর স্থানে বসবাসরত সমগ্র বাঙালি গর্ব করে বলতে পারে, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার অহংকার।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর একজন ক্ষুদ্র কর্মী। তার সারা জীবনের যে স্বপ্ন, যে চিন্তা, যে ভাবনা, বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি যে আমার বাংলা, আমার বাংলার মানুষ, আমার বাঙালি- এই কথাগুলো বলতেন। এই কথাগুলো আজ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৭৫ পরবর্তী কিছুকাল কালো মেঘে বাংলাদেশকে ঢেকে রাখা হয়েছিল, ইতিহাসকে বিকৃতি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সুখের বিষয় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপূর্ব দৃঢ়তায়, রাজনৈতিক মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে আজ সব অপশক্তিকে ব্যর্থ করে দিয়ে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই দেশ আরও এগিয়ে যাবে।

রাজশাহী সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নগরভবনের গ্রিনপ্লাজায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব কবি শেখ হাফিজুর রহমান। এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বইমেলা রয়েছে।

এর আগে রোববার সকাল ১০টায় উৎসব উপলক্ষে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে মহানগরীর কুমারপাড়া মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।  

অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপুকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।