শুক্রবার (২২ মার্চ) চীনের বেইজিংয়ে সিএমসি অফিস পরিদর্শনকালে এ কথা জানান বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সিএমসি অফিসে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাঙ্গ হুবাইও। এরপর প্রতিমন্ত্রী সিএমসির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর ইয়াহ ইয়া সৈয়দ এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে বিএসসির জন্য ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আরও ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করা হবে। জাহাজ সংগ্রহের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এরইমধ্যে একনেকে এর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈঠকে ঢাকার চারপাশের সার্কুলার নৌপথ, সার্কুলার সড়ক, মেরিন একাডেমিতে বিশ্বমানের নাবিক গড়ে তুলতে চীনের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ।
বিএসসিকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে ছয়টি জাহাজ সংগ্রহের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে চীন আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। এ পর্যন্ত পাঁচটি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো- এমভি বাংলার জয়যাত্রা, এমভি বাংলার সমৃদ্ধি, এমভি বাংলার অর্জন, এমটি বাংলার অগ্রযাত্রা এবং এমটি বাংলার অগ্রদূত।
বাকি জাহাজ ‘এমটি বাংলার অগ্রগতি’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রতিমন্ত্রী ২১ মার্চ রাতে চীন পৌঁছান। তিনি ২৪ মার্চ রাতে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
আরএম/জিসিজি/এইচএ/