গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য যে পরিমাণ তথ্য–উপাত্ত প্রয়োজন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তার অনেকগুলো সংগ্রহ করা হয়ে গেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
রোববার (২৪ মার্চ) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলতে অনেকের ধারণা ছিলো, জাতিসংঘের স্বীকৃতি। তবে বিষয়টি কিন্তু শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কেননা জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা এখন যেটি চাই, পৃথিবীর যতো সম্ভব বেশি রাষ্ট্র এ বিষয়টির স্বীকৃতি দেবে, এর সঙ্গে সহমর্মিতা জানাবে, এর বিরুদ্ধে নিন্দা জানাবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতীয় সংসদে গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়টি উত্থাপনের পর থেকেই এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকারে রয়েছে। গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী যেসব দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বৈঠক করেছেন সেখানেও এটি তুলেছেন। বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি।
কূটনীতিকদের ব্যর্থতায় গণহত্যার স্বীকৃতি আসেনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের এই সমালোচনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে নিয়ম কানুন জানতে হবে। এটা তো একটা নতুন যাত্রা। হয়তো আগামীতে সময় আসবে, তখন আমরা জাতিসংঘে একটা নতুন প্রস্তাব উত্থাপনের চেষ্টা করতে পারি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা স্মরণে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ, ২০১৯
টিআর/জেডএস