শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিংশতম আবু মহামেদ হাবিবুল্লাহ স্মারক বক্তৃতা ২০১৯ উপলক্ষে স্বাধীনতা থেকে স্বাধীনতা: একটি সমাজতাত্ত্বিক সমীক্ষা শীর্ষক লিখিত বক্তব্য রাখেন কেএএম সা’দ।
সংগঠনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।
অধ্যাপক সা'দ উদ্দীন বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাসে এই অঞ্চলে মাত্র দুইবার নির্বাচন দেয়া হয়েছিল। প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলে গভর্নর জেনারেলের আদেশ বলে তা রহিত করা হয়। আর সত্তরের নির্বাচনের ঠিক একই রকমভাবে অত্যন্ত সুচতুরভাবে বানচাল করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের প্রবাহকে স্তব্ধ করার ফলে প্লাবন থেকে মহাপ্লাবন সৃষ্টি হয়েছিল।
‘পাকিস্তানের কফিনে যে পেরেকটি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তার প্রথম উক্তির মাধ্যমে স্থাপন করেছিলেন তার সর্বশেষ পরিণতি হলো ২৫শে মার্চের কালোরাত্রি। সেটাই ছিল পাকিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক। ’
বাংলার স্বাধীনতা এই অঞ্চলের দ্বিতীয় স্বাধীনতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছরের তথাকথিত স্বাধীনতা বাংলার জন্য দুর্বিষহ। পূর্ব বাংলাকে এই দীর্ঘ সময় ধরে নানাবিধ প্রক্রিয়ায় শোষণ, বঞ্চনা ও রাজনৈতিক নির্যাতনের মাধ্যমে একটি চরম দুরাবস্থায় নিপতিত করেছিল।
‘শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই অঞ্চলের জনসাধারণ সোচ্চার হলেই নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রচন্ডভাবে দমন করা হয়েছিল। নির্বাচনের বিষয়কে তারা সহজভাবে গ্রহণ করেনি,’ বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও ঢাবির সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক ও ঢাবির সহকারী প্রক্টর মো. আবদুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এসকেবি/এমএ