ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দলিল অনুযায়ী পানির সুরাহা হয়নি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৯
‘দলিল অনুযায়ী পানির সুরাহা হয়নি’

কলকাতা: দলিল অনুযায়ী বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পানির ন্যায্য হিস্যা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক ড. মসিউর রহমান। 

তিনি বলেছেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে যে দলিলে সই হয়েছিল, সে অনুযায়ী অনেক অমীমাংসিত বিষয়ই সমাধান হয়েছে। তবে পানির সমস্যার সুরাহা হয়নি।

আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে হবে।  

কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে ‘বাণিজ্য ও বন্ধুত্বের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. মসিউর এসব কথা বলেন। নন রেসিডেন্স বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন শনিবার (০৬ এপ্রিল) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত; একে অপরের সহযোগিতা কতদূর প্রসার বা গভীর হতে পারে তার সীমানা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সই করা দলিল অনুযায়ী, ছিটমহল সমস্যা, পানি বণ্টন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়সহ অমীমাংসিত বিষয় ছিল। আরেকটা অংশ ছিল উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা। আমরা যতটা পেরেছি সমস্যা দূর করেছি, ভবিষ্যতে বাকিগুলোও দূর হবে।

‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি নদী প্রবাহমান। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং কিছু আছে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। পানি বণ্টন বা যৌথভাবে ব্যবহার করার সেই কথাও আমাদের ওই দলিলে উল্লেখ আছে। তিস্তা ছিল প্রথম চেষ্টা। তবে এটা ভারতকে বুঝতে হবে তিস্তা নদীকে আমরা ভারতীয় নদী হিসেবে বলবো না, আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে বিবেচনা করবো। আইন বলছে আন্তর্জাতিক নদী তাকেই বলে যা দুই দেশের মধ্যে প্রবাহমান। ’

ড. মসিউর রহমান বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নদী প্রবাহমান আছে। ভারত সেটা দেখে যাতে পানি বাধাপ্রাপ্ত না হয় এবং পাকিস্তানের ইরিগেশন সিস্টেম এই নদীর উপর ভিত্তি করেই চলে। বাংলাদেশের সঙ্গে এরকম চুক্তি কিন্তু আজও হয়নি, গঙ্গা বাদে। কিন্তু তিস্তাও একই রকম বিষয়। আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল ১৫ বছরে একবার মেপে দেখা যে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয় কি-না।

তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে যথেষ্ট যোগাযোগ বেড়েছে। জাহাজ শিল্পেও দুই দেশের মধ্যে অনেক কাজ হচ্ছে। মূলকথা হচ্ছে- দুই দেশের মধ্যে আগের থেকে সম্পর্ক অনেক উন্নতি ঘটেছে।  

সভায় কলকাতা উপ-হাইকমিশনের প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, যদিও আমাদের মিশন, কলকাতা উপদুতাবাস বলে পরিচিত। তবুও এর কাজের কলেবর দূতাবাসের চেয়ে কম নয়। আমাদের মিশনে পাঁচটা উইং আছে। এর কারণ আমরা কলকাতার সঙ্গে সম্পর্কটা অনেক গুরুত্ব দিই এবং ব্যবসা-বাণিজ্য দেখার জন্যেও আলাদা উইং আছে।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কাজ ভিসা দেয়া। যদিও ভিসা দেয়ার রুলস ও রেগুলেশন হোম মিনিস্ট্রি ঠিক করে থাকে। যদি অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়ার বিষয়টা হোম মিনিস্ট্রি নির্দেশ দেয় তাহলে আমরা তো অবশ্যই দেব।  

সভায় মূল আলোচক ছিলেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ফারজানা চৌধুরী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. সবুর খান এবং ঢাকা শেয়ার মার্কেট ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মো. আমিন আলী প্রমুখ।  

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারপারসন শাকিল চৌধুরী বলেন, চলতি বছরে আমরা ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ ১২টি দেশে সেমিনার করবো। যার শুরুটা হয়েছে কলকাতা দিয়ে।  

‘বাংলাদেশের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ দেশের বাইরে থাকেন নানান কর্মের সন্ধানে। তাদের শেকড়ের যোগসূত্র রাখার জন্য আমরা এ কাজটি করে থাকি। ’

বাংলাদেশ সময়:২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
ভিএস/ এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।