ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৯
ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে ঝড়ের কারণে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়ে দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব)।

শনিবারের (৬ এপ্রিল) ঝড়ের পর দেশব্যাপী সবগুলো অপারেটরের প্রায় ১৮ হাজার টাওয়ারে কোনো বিদ্যুৎ ছিল না। এতে নেটওয়ার্কজনিত সমস্যায় পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের।

গ্রাহকদের মোবাইল সেবা বঞ্চিত না করতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটাতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছে মোবাইল অপারেটরদের এ সংগঠন।
 
অ্যামটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ জানান, গত ৩১ মার্চ এবং ৬ এপ্রিলসহ কয়েক দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটছে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের টাওয়ারগুলোও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অ্যামটব বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার ফলে দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে তা ফিরে আসতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দেখা যাচ্ছে যে, ঝড় শুরুর আগেই বাণিজ্যিক বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। গ্রিড লাইনে কর্মরত কর্মীরা প্রাণান্ত চেষ্টা করলেও সংযোগ ফিরে পেতে কখনো কখনো ২০ ঘণ্টার মতো লেগে যায়। বিদ্যুৎ না থাকলে অপারেটররা ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজেদের ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালাতে পারে, কিন্তু এর বেশি হলে সাইট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

অ্যামটব জানায়, শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতের ঝড়ে দেশের ৫০ শতাংশ নেটওয়ার্ক সাইটে কোনো বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ছিল না। ঝড় শুরুর ১২ ঘণ্টা পরেও অন্তত ৩৫ শতাংশ সাইটে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। ফলে অন্তত ১৫ শতাংশ সাইট পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

দেখা যাচ্ছে যে, দেশব্যাপী সবগুলো অপারেটরের প্রায় ১৮ হাজার বা অর্ধেক সাইটে ঝড়ের পরে কোনো বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ছিল না। আর সকাল ৭টা পর্যন্ত বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ছিল না অন্তত ১০ হাজার সাইটে। এর পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার সাইট বিদ্যুৎহীন ছিল।

মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা ঘাটতির কারণে যেন মোবাইল সাইটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না থাকে। মোবাইল গ্রাহকেরা সেবা থেকে বঞ্চিত যেন না হন— এমনটা দাবি অ্যামটব’র।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
এমআইএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।