শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মাইজভাণ্ডারী গানের এ মহা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।
মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
মাইভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর সভাপতিত্বে মো. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, বাংলা একাডেমির সহকারি পরিচালক সাইমন জাকারিয়া, লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার।
বক্তারা বলেন, মাইজভাণ্ডারী দর্শনের মূল কথা হল মানবতা। এ দরবার ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সব মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার অনুপম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
‘মাইজভাণ্ডারী দর্শনের অনুপম অনুষঙ্গ হল মাইজভাণ্ডারী গান। এ গান গত দেড়শ বছরে বাংলা লোকসংগীতের সমৃদ্ধ ধারা হয়ে উঠেছে। উনবিংশ শতাব্দীতে ধর্মসাধক সৈয়দ মাওলানা আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী তরিকা প্রবর্তন করেন। ’
অনুষ্ঠানে মাইজভান্ডারি গান নিয়ে অবদান রাখায় সম্মাননা দেওয়া হয় সৈয়দ নিজাম উদ্দিন মন্টু (মরণোত্তর), মোহাম্মদ সৈয়দ ইউসুফ প্রকাশ টুনু কাওয়াল (মরণোত্তর), সৈয়দ আবু আহম্মেদ, আবদুল গফুর হালী (মরণোত্তর), বিনয়বাঁশী জলদাস (মরণোত্তর), কবিয়াল রমেশ শীল (মরণোত্তর), সন্দীপন দাশ, ফকির শাহাবুদ্দিন, কল্যাণী ঘোষ, শাহজান আলী খান, জামাল হাসান, অধ্যাপক এওয়াই এম জাফর ও হাসান শরীফ খানকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এসইউ/টিসি