জনগণের খাদ্যাভাস ও খাদ্য পরিকল্পনায় পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন’।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। আমরা এর শতভাগ পালন করেছি। বর্তমানে দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। এখন মাত্র ১০ শতাংশের মতো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় পুষ্টিনীতি-২০১৫কে অনুসরণ করে দ্বিতীয় পুষ্টিনীতি-২০২৫ এর পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুষ্টিনীতি-২০২৫ এর মধ্যে রয়েছে- শিশুর জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো ৮০ শতাংশে উন্নীত করা, ছয় মাসের কম বয়সীদের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বাড়িয়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত করা। এছাড়া ২০ থেকে ২৩ সপ্তাহ বয়সী শিশুর বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৯৫ শতাংশ করা, ছয় থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুর নূন্যতম খাবার বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা, কম জন্ম ওজনের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশ করা ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর খর্বাকৃতি হার কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা।
শামস উদ্দিন বলেন, ২৩ এপ্রিল থেকে আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশের মতো ঢাকা জেলাতেও পালন করা হবে পুষ্টি সপ্তাহ। এর মধ্যে সার্জন অফিসে আলোচনা সভা ও র্যালি উদযাপন করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ এপ্রিল কামরাঙ্গিচরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বহিঃবিভাগে কাউন্সেলিং, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন প্রতিযোগিতা। ২৫ এপ্রিল আজিমপুর গালস স্কুলে স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ে পাঠদান। ২৬ এপ্রিল তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুষ্টি মেলা। ২৭ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। ২৮ এপ্রিল আলোচনা সভা এবং ২৯ এপ্রিল শেষ দিনে একইসঙ্গে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
ইএআর/আরবি/