বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেই গ্রীষ্মকালেও প্রকৃতিতে বিরাজ করছে শীতের শিশির বিন্দু। উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে বৈশাখ মাসে রাতে পড়ছে শিশির।
রাতের আকাশে কখনো কালো মেঘের গর্জনে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী ঝড়। কখনও চলে মুষলধারে বৃষ্টি। আবার কখনও মুহূর্তে রূপ পাল্টে রাতের আকাশে চাঁদ-তারার মেলা বসে, যেন শরৎ এর শুভ্রতা। বৈশাখী আকাশে যেন শরৎ কালের আবির্ভাব ঘটেছে। আবহাওয়ার এমন অবস্থা চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে।
এ বিষয়ে বয়োবৃদ্ধ আফাজ উদ্দিন (৯০) বাংলানিউজকে বলেন, দিনে ভ্যাপসা গরমে ফ্যান চালাতে হয়। রাতে আবার ঠাণ্ডার কারণে কম্বল গায়ে দিতে হয়। এমন আবহাওয়া দীর্ঘ জীবনে কখনো দেখিনি।
আবহাওয়ার এ বৈরি আচরণে বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগবালাই। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোর আন্তবিভাগে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম হলেও বর্হিবিভাগে চিকিৎসাপত্র নিতে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে বৈরি এ আবহাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী বাংলানিউজকে বলেন, কখনও প্রচণ্ড গরম আবার কখনও ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় মানবদেহে এ আবহাওয়া সহনীয় হচ্ছে না। বিধায় সর্দি জ্বরসহ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জেলার হাসপাতালগুলোর বর্হিবিভাগে এমন অনেক রোগী প্রতিদিন চিকিৎসাপত্র নিচ্ছেন।
রংপুর আবহাওয়া অধিদফতরের সিনিয়র অবজারভার আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে চিরচেনা প্রকৃতি তার রূপ পাল্টাচ্ছে। দিনে প্রচণ্ড গরম হলেও রাতে শিশির পড়ছে। তবে গত চারদিনে এ অঞ্চলে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
এনটি