১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় ৯০ কিলোমিটারে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে একজনকে দুই বছর, ১৩৯ জনক এক বছর করে এবং সাত জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবরণ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবরণে আরও বলা হয়, দুই মাসে জেলা টাস্কফোর্স ১০৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। নদীতে দিন ও রাতে অভিযান করেন ৪৫৮টি। মাছঘাট পরিদর্শন করেন ৩২৬টি, আড়ত পরিদর্শন করেন দুই হাজার ৩৭০টি এবং বাজার এক হাজার ১২৪টি।
অভিযানে ১৬ হাজার ৫১১ কেজি জাটকা ও ৯০ কেজি অন্যান্য মাছ জব্দ করা হয়েছে। একই সময় অভিযানে ৩০ লাখ চিংড়ি রেনু পোনা জব্দ করে নৌ-পুলিশ। কারেন্ট জাল জব্দ করা হয় ২৭২ দশমিক ১৪৭ লাখ বর্গ মিটার। যার আনুমানিক মূল্য ৫৪ কোটি ৪২ লাখ ৯৪৭ টাকা। এসব ঘটনায় জেলা মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট থানায় ১৭১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাসুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত ছিল। জেলা ট্রাস্কফোর্সের সব সদস্য এবং সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা ছিল অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে। ১ মে থেকে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণে জেলেদের জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
তবে ১০ ইঞ্চি সাইজের নিচে জাটকা ইলিশ আহরণ সব সময়ই নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাজেদুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অভয়াশ্রমকালীন দুই মাস জেলা প্রশাসন, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। সবাই জাটকা রক্ষায় সহযোগিতা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
জিপি