আর এতে গরমের অস্বস্তি ও সেহেরি তৈরিসহ খাওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা। এই বিদ্যুৎ গোলযোগে সমস্যার কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
মোক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আওয়াল বাংলানিউজকে জানান, দিনভর রোজা রাখার প্রস্তুতি নিতে রাতে যদি সমস্যার সৃষ্টি হয় তা একজন রোজাদারের জন্য খুবই কষ্টকর এবং দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
গরমে ঘুমানোর কোনো সুযোগ নেই। কয়েলেও কাজ হয় না, রয়েছে মশার উপদ্রব। তারপর এখন আবার অজানা কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। কি এমন সমস্যা হলে রাত পার করে দিতে হয় তা ঠিক করতে গিয়ে! এগুলো দায়িত্বে অবহেলা আর উদাসিনতা ছাড়া আর কিছুই না। এমনিতেই বিদ্যুৎ দিনভর আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে!
শাওনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ছাত্রলীগের আরেক নেতা ওমর সাইফুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়গুলো অবশ্যই বিদ্যুৎ বিভাগের ভেবে দেখা উচিৎ। ছোটোখাটো সমস্যা হলেও সারিয়ে দিতে রাত পার করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্মীরা!
সিয়াম সাধনার পবিত্র এ মাসে গতবছরও লোডশেডিংয়ের জন্য তারাবি নামাজসহ সেহেরি ও ইফতারে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মুসল্লিদের, মন্তব্য করেন আইনজীবী নূর-ই এলাহি খান।
গতবছরের মতো এবছর যেন বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো মুসল্লির তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আহ্বানও জানান প্রবীণ এ আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
জেডএস