ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দাম কমিয়ে পাটজাত পণ্য বিক্রি করার পক্ষে বাদশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
দাম কমিয়ে পাটজাত পণ্য বিক্রি করার পক্ষে বাদশা পাটকল শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ফজলে হোসেন বাদশা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোর গুদামে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার পণ্য পড়ে আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত এসব পণ্য বিক্রি না হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন হচ্ছে না। ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধের সরকারি ঘোষণা না এলে পাটকল শ্রমিকরা আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ অবস্থায় দাম কিছুটা কমিয়ে পাটজাত পণ্য বিক্রি করে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।  

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজশাহী জুটমিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় প্রতি টন পাটজাত পণ্যের দাম দুই-তিন ডলার কমিয়ে দিলেই সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাবে। তখন পর্যাপ্ত টাকার জোগান হবে ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, পাটশিল্পের প্রতি অবহেলার কারণেই এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীতে পাটজাত পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অথচ আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এর পেছনে কারা দায়ী? এখন প্রতি টনে দুই-তিন ডলার দাম কমিয়ে দিলেই সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাবে। তাহলে আর কোনো শ্রমিক বেতন থেকে বঞ্চিত হবে না। অচলাবস্থা দূর হবে। শ্রমিকদের পেটে ভাত জুটবে।

এ বিষয়ে রোববারই (১২ মে) বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিন লাখ লাখ ডলার বিদেশে পাচার হচ্ছে। কিন্তু পাটজাত পণ্যের দাম দুই-তিন ডলার কমানো হচ্ছে না। শ্রমিকরা অনাহারে থাকছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। এ বিষয়ে আমি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। প্রয়োজনে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। এ দূরাবস্থা কাটানো দরকার।

এর আগে, মতবিনিময়কালে রাজশাহী জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে বলেন, এ জুটমিলের কর্মচারীরা চার মাস বেতন পাননি। শ্রমিকরা মজুরি পাননি ১২ সপ্তাহের। কর্মকর্তাদেরও বেতন বাকি পাঁচ মাসের। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সবাই। বিশেষ করে সামান্য মজুরির শ্রমিকরা চরম দুঃসময় পার করছেন। তাদের জন্য ঈদ আসছে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে।  

তাই আগামী সোমবারের (১৩ মে) মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের সরকারি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা। নাহলে ওই দিন থেকেই টানা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এসময় ফজলে হোসেন বাদশা শ্রমিকদের বলেন, সরকার সোমবারের মধ্যেই বিষয়টার সমাধান করবে বলে আশা করি। এ নিয়ে রোববার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যাব। ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগেই যেন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়, সে দাবি জানাবো।  

রাজশাহী জুটমিলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জুটমিলের প্রকল্প প্রধান আমিনুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসিত পাল প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এসএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।