ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীর উন্নয়নে উন্মোচিত হলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
রাজশাহীর উন্নয়নে উন্মোচিত হলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও পাওয়ার চায়নার কর্মকর্তারা

রাজশাহী: রাজশাহীর বিভিন্নখাতে ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও চায়নার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজশাহীর উন্নয়নে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী মাস্টারপ্ল্যানটি বাস্তবায়ন হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে পুরো রাজশাহীর চিত্র।

রোববার (১২ মে) দুপুরে নগরভবন সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পক্ষে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও পাওয়ার চায়নার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মি. হান কুন চুক্তিতে সই করেন। বলা হচ্ছে এটি সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের নতুন মাইল ফলক।

 

চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন বছর আটটি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করবে পাওয়ার চায়না। এর আওতায় রাজশাহীর পদ্মা নদীর ধারে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে গড়ে তোলা হবে স্যাটেলাইট টাউন, বিনোদনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন, তৈরি করা হবে ইকোপার্ক, সায়েন্সসিটি তৈরি, হজরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও টেকনিক্যাল সুবিধা বাড়ানো, সুয়ারেজ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নগর পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, এরমধ্যে রয়েছে গণপরিবহণ, রাস্তা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার। এছাড়া আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানান, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জ্যুয়ো রাজশাহীতে এসে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর তিনি চায়না বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নাকে রাজশাহীতে পাঠান। রাজশাহীর উন্নয়নে পাওয়ার চায়নাকে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির অনুরোধ জানান মেয়র। তারা সম্মত হওয়ার পর কয়েক দফা আলাপ-আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বতর্মানে সিটি করপোরেশনের আয়তন ছোট। সিটি করপোরেশনের আয়তন প্রায় ৪১০ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারণ করা হবে। এই বৃহৎ এলাকার মানুষকে নগরের সুযোগ-সুবিধা চিহ্নিত করে আটটি খাতকে সামনে রেখে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে দেবে পাওয়ার চায়না। চুক্তি আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে অগ্রাধিকারভিত্তিক একটার পর একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ৫০ বছরের জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই আজ রাজশাহীবাসীর ব্রাইট ফিউচারের জন্য নতুন জার্নি শুরু হলো।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার চায়নার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হান কুন বলেন, পাওয়ার চায়না বাংলাদেশ নতুন নয়। ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে। অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমরা রাজশাহীর সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। পাওয়ার চায়নার প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন মি. লে. জি,  মি. অ্যান্ডু ও ইয়াং শাও।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।