বুধবার (১৫ মে) এই বাজারটিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের তত্ত্বাবধানে দুই সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা এবং আফরোজা রহমানের নেতৃত্বে বাজারটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাজারটির একটি মুদি দোকানেও পাওয়া যায়নি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তালিকা।
অভিযানকালে বাজারটির তিনটি দোকানকে পাঁচ হাজার করে ১৫ হাজার টাকা এবং একটি মাংসের দোকানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কিন্ত অভিযানটির আশ্চর্যের বিষয় হলো- এসময় আদালতের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ব্যবসায়ীরা রাগী স্বরে জিজ্ঞেস করেন, দ্রব্যমূল্যের তালিকা কী জিনিস?
বাজারের মুদি দোকানি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এতো বছর ধরে ব্যবসা করছি, কখনও এই মূল্য তালিকার কথা শুনিনি। এর আগে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এসে কখনও বলেননি, মূল্য তালিকা বা বাজার দর ঝোলাতে হবে। সিটি করপোরেশন থেকেও কেউ বলে যায়নি। এটা কেমন বা কীভাবে বানাতে হবে, তা-ই তো জানি না আমরা।
এদিকে, যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইল এলাকার একটি মিষ্টির কারখানা এবং একটি বেকারি কারখানাকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় গ্রামীণ সুইটস নামে মিষ্টির কারখানাটিতে পুরানো পচা মিষ্টি, পচা খেজুর ও বাদাম পান আদালতের কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে কারখানায় উৎপাদন করে রাখা দই, সেমাই এবং মিষ্টিতে মেয়াদ সম্পর্কিত কোনো লেবেল পাওয়া যায়নি। পরে জরিমানার পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ মিষ্টি ও পচা পণ্য সামগ্রী ডাম্পিং করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের দোকানগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শিত অবস্থায় থাকার নিয়ম। কিন্তু এই বাজারে এসে দেখলাম কোনোটিতেই মূল্যের তালিকা নেই। এতে ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে। তাই আমরা আজ জরিমানা করেছি। আর মিষ্টি ও বেকারির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ভেজাল কাঁচামাল দিয়ে পণ্য বানাতে দেখেছি। যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ধারা-৪৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এদেরও জরিমানা করেছি এবং ভেজাল ও পচা দ্রব্য ডাম্পিং করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যদি তাদের অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে আরও কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ