ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ষার আত্মহত্যার তদন্তে মোহনপুর থানার ওসি প্রত্যাহার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
বর্ষার আত্মহত্যার তদন্তে মোহনপুর থানার ওসি প্রত্যাহার

রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার (১৪) আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তে মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা।

তিনি জানান, সুমাইয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির কাজ- মোহনপুর থানার ওসিসহ থানা পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা। জেলা পুলিশের ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত তদন্তের স্বার্থে ওই ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৬ মে সন্ধ্যায় রাজশাহীর মোহনপুরে নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট রেখে যায় সুমাইয়া। সেখানে লেখা-

‘প্রিয় মা-বাবা,
প্রথমেই তোমাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি তোমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। অনেক আদর, অনেক ভালোবাসা। কিন্তু একটা মেয়ের কাছে তার মান-সম্মানটাই সবচেয়ে বড়। আমি আমার লজ্জার কথা সবাইকে বলতে বলতে নিজের কাছে অনেক ছোট হয়ে গেছি।

প্রতিদিন পরপুরুষের কাছে এসব বলতে বলতে। আমি আর পারছি না। অপরাধীকে শাস্তি দিলেই তো আমার মান-সম্মান ফেরত পাবো না। আমাকে ক্ষমা করো। ’

বর্ষার বাবা আবদুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, একই এলাকার ছেলে মুকুলের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২৩ এপ্রিল সুমাইয়াকে অপহরণ করে শহরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে মুকুল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। আপসের কথা বলে আসামিদের আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে। এতেই ক্ষোভে-অভিমানে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বর্ষাকে আজ মরতে হতো না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
পিএম/এসএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।