ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭৫ হাজার টাকায় বাঁচতে পারে সুলতানার জীবন!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৯
৭৫ হাজার টাকায় বাঁচতে পারে সুলতানার জীবন!

খুলনা: ৭৫ হাজার টাকা। হয়তো বা অনেকের ঈদ শপিংয়ের খরচ। অথচ সেই ৭৫ হাজার টাকার অভাবে কেমোথেরাপি নিতে পারছেন না ব্রেস্ট ক্যন্সারে আক্রান্ত এক সন্তানের জননী সুলতানা আক্তার (২৫)।

টাকার অভাবে আগামী ১৭ জুনের কেমো নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুলতানার পরিবার।

খুলনার রূপসা উপজেলার শামন্তসেনা গ্রামের আলামিন সরদারের স্ত্রী সুলতানা।

এ বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের ডা. আব্দুর রহিম সুলতানার ব্রেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন করেন। অপারেশন করাতে গিয়ে প্রায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েন তার হতদরিদ্র স্বামী। এরপর অনেক কষ্টে অপারেশন পরবর্তী ছয়টি কেমোথেরাপির মধ্যে তিনটি দেওয়াতে পারলেও বাকি তিনটি দেওয়ানো তার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে, মাত্র ৭৫ হাজার টাকার অভাবে চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুলতানার।

সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মোজাম্মেল হোসেনের কাছে আমার ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পরে। তখন আমার গর্ভে সন্তান ছিলো। শারীরিক অসুস্থতা বেশি হওয়ায় মাত্র আট মাসে আমার সিজার করা হয়। এরপর এ বছরের ১৬ জানুয়ারি ছেলের বয়স এক মাস হলে ঢাকার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে আমার অপারেশন হয়। অপারেশনের পর ডাক্তার ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে বলেন। যার এক একটির মূল্য ২৫ হাজার টাকা। অপারেশনের খরচ ও তিনটি কেমো দিয়ে আমার স্বামী সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। আগে সে একটি কওমী মাদ্রাসায় চাকরি করতো। কিন্তু আমার চিকিৎসার পেছনে ছুটতে গিয়ে সে চাকরি চলে গেছে। এখন অনেকটা বেকার হয়ে পড়েছেন। শুধু মাঝেমধ্যে দিন মজুরের কাজ পেলে তাই করেন। এভাবেই কোনোমতে চলছে আমাদের সংসার।

সুলতানা আরও জানান, তার সাত মাস বয়সী শিশু হুসাইন আহমেদও অসুস্থ। শিশুটির হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে। এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সুলতানা।

সন্তানের জন্য বেঁচে থাকতে সমাজের বিত্তবান ও দয়াশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন হতভাগ্য মা সুলতানা।

সুলতানার স্বামী আলামিন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্ত্রীর অপারেশনের পর ডাক্তার তার সুস্থতার জন্য ছয়টি কেমোথেরাপি দিতে বলেন। নিজের সর্বস্ব দিয়ে কোনোমতে তিনটি কেমো দিলেও টাকার অভাবে বাকি তিনটি দেওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। ১৭ জুন তার পরবর্তী কেমো দিতে হবে। ২১ দিন পরপর কেমো দিতে প্রত্যেকবার ২৫ হাজার টাকার করে প্রয়োজন। আর্থিক সংকটে কারণে সঠিক সময়ে কেমো দিতে পারবো কিনা সে চিন্তায় সুলতানা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন সুলতানার স্বামী আলামিন সরদারও। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সুলতানাকে সুস্থ করে তার জীবন বাঁচাতে দেশের সামর্থবান, দানবীর, বিত্তবান ও মানবিক মানুষের কাছে সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: সুলতানা আক্তার, সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বার- ৩৪১০২৩৬৮ সোনালী ব্যাংক, কাজদিয়া শাখা, খুলনা। বিকাশ ও যোগাযোগ নাম্বার: ০১৭৬০৮০৯২১৩ (সুলতানা)।

বাংলাদেশসময়:  ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
এমআরএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।