তিনি বলেন, পুরোনো প্রথা বদলে ২০৪১ সালের মধ্যে রেলের সব মিটারগেজ পরিবর্তন করে ডুয়েল গেজে পরিণত করা হবে।
শনিবার (২২ জুন) সকালে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টারে ১১তম ব্যাচের সমাপণী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে উন্নয়ন বেশি করেছে। ২০০৮ সালে আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়েতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা বিগত আমলে কোনো সরকার করেনি। এখন আর সড়কপথে মানুষ চলতে চায় না। ট্রেনকেই নিরাপদ ও স্বস্তির মনে করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। পারমাণবিক প্রকল্প ও রেলকে সংকোচিত করার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোনো মন্ত্রণালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী নাই। দেশের সম্পদ রক্ষায় জনবল বাড়াতে হবে, আপনাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে জনবল বৃদ্ধি করা হবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজওয়ান-উর-রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা-৪ আসনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যাবস্হাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ডেন্ট ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এর আগে সকালে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ১১তম ব্যাচের সদস্যদের কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথমস্থান অধিকার করা সদস্যের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তা, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এসএইচ