তাদের মতে, বাজেটে ‘কোনো প্রতিষ্ঠানে মোট জনবলের ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হলে সে প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় করের ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে’, যা হাস্যকর। মোট জনবলের ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী একসঙ্গে পাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলেও মত দিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে’ এ অভিযোগ করা হয়।
জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহাসচিব ড. সেলিনা আক্তার বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ মূলত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক ক্ষমতায়ন খাতে রাখা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বাজেটের ২ দশমিক ১৯ শতাংশ যা, মোট বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাহিদার তুলনায় এ বাজেট খুবই অপ্রতুল।
তিনি বলেন, বাজেট প্রণোয়নের আগে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করলেও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বসা হয়নি। আলোচনা না হলে কিভাবে বাজেটে প্রতিবন্ধীদের চাহিদার প্রতিফলন ঘটবে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বরাদ্দ গতানুগতিক খাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ভাতা নির্ভর বাজেট প্রতিবন্ধীদের উৎপাদনমুখী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নে প্রতিবন্ধীদের গুরুত্ব দিলেও বাজেটে মোটেও গুরুত্ব নেই। দেশে ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হলেও এ বছর মাত্র ১০ হাজার উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় অর্ন্তভুক্তি ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন বা উন্নত দেশের কাতারে যাওয়া সম্ভব হবে না। সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষকে উন্নয়ন অভিযাত্রায় সংযুক্ত করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা নির্ভর না হয়ে তাদের মূল ধারায় আনতে হবে। তবে বাজেটে প্রতিবন্ধীদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় অর্থমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আনজামুল আলম মুনির, সহ-সভাপতি দিলীপ কুমরা ঘোষ, নারী বিষয়ক সম্পাদক শ্যামলী রানী দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
ইএআর/জেডএস