ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কারাগারে ডিআইজি মিজানের দেহ তল্লাশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯
কারাগারে ডিআইজি মিজানের দেহ তল্লাশি

ঢাকা: কারাগারের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ডিআইজি মিজানের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে তাকে একটি ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরের দিকে তাকে কারাগারে আনা হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী রাত ৮টার দিকে বাংলানিউজকে জানান, কারাগারের মূল ফটকে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কারা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ডিআইজি মিজানের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও তার দেহ তল্লাশি করা হয়।

পরে সেখান থেকে তাকে একটি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘ডিআইজি মিজান এ ক্লাস অফিসার হিসেবে তিনি ডিভিশন পাবেন। তবুও আমরা একটি কাগজের অপেক্ষায় আছি। কাগজ পেলেই তাকে ডিভিশন দেওয়া হবে। কারাবিধি অনুযায়ী রাতের খাবার তাকে ওই ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। ’

এর আগে সকাল ১১টার কিছু আগে ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে তার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। এ সময় আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন মিজান। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে কাস্টডিতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।  

এর আগে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্যগোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে হাজির হন।

২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে তাকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

ডিআইজি মিজান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।  

এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।  

সম্প্রতি দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে এলে তড়িঘড়ি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠায়। মিজানের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ অধিদফতর।  

কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও নারী নির্যাতন, ঘুষ প্রদান, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে দুই বছর ধরে মিজানের নাম আলোচনায় এলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।  

মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।

** ডিআইজি মিজানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ 
** 
ডিআইজি মিজানকে আদালতে হাজির


বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।