রোববার (৭ জুলাই) নগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
এদিন ভোর ছয়টা থেকে নগরের সদর রোডের কাকলীর মোড় ও জেলখানার মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখতে চালকদের অনুরোধ জানায় হরতালের সমর্থনকারীরা।
পরে সকাল পৌনে সাতটার দিকে যান চলাচল না করার আহ্বান জানিয়ে নগরের কাকলীর মোড় এলাকায় মিছিল বের করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে সোয়া আটটার দিকে কাকলীর মোড়ে অবস্থান নেওয়া হরতাল সমর্থনকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সে সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
হরতাল সমর্থনকারীরা বলছে, কোনো পিকেটিং নয়, হরতালের বিষয়বস্তু জনগণ ও চালকদের বুঝিয়ে তাদের যানবাহন না চালনার অনুরোধ করা হচ্ছে।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, এ হরতালে রাষ্ট্রের প্রতিটি জনগণের সমর্থন থাকা উচিত। কারণ এ হরতাল শুধু আমাদের নয়, রাষ্ট্রের প্রতিটি জনগণের জন্য। আজ গ্যাসের দাম বাড়লে যানবাহনের ভাড়া ও বিদ্যুৎসহ গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত সব কিছুরই দাম বাড়বে। যার প্রভাব প্রতিটি মানুষকেই ভোগ করত হবে।
তবে এই হরতালে নগরীর জীবনযাত্রায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। লঞ্চ ও বাসসহ সব ধরনের যান চলাচল এবং নগরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিমুখর আবহাওয়ার মধ্য দিয়েই নগরের ব্যস্ততা স্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। স্কুল, কলেজ, কিংবা অফিস-আদালতে যথাসময়েই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরজুড়ে মোতায়েন রয়েছে বাড়তি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমএস/এসএ