রোববার (৭ জুলাই) সকালেই হরতালের সমর্থনে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাম নেতাকর্মীরা। মিছিলে পিকেটিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিন হরতালের সমর্থনে থাকা বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা নগরের চৌহাট্টা এলাকাসহ দুই থেকে তিনটি স্থানে পিকেটিং করেছে। এছাড়া সিপিবি, বাসদ ও বাসদ মার্কসবাদীসহ সম্মিলিত বাম গণতান্ত্রিক জোট কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি সুরমা টাওয়ার, আম্বরখানা, ওসমানী শিশু পার্কসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে পূণরায় কোর্ট পয়েন্টে এসে সমবেত হয়। এ সময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন হরতালের সমর্থনকারীরা।
বর্তমানে সরকারবিরোধী সর্ববৃহৎ জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে হরতালে কোনো সমর্থন না আসলেও তাদের দুই প্রধান শরিক বিএনপি ও গণফোরাম এতে সমর্থন দিয়েছে। তবে হরতালে এ দু’টি দলের কাউকেই মাঠে থাকতে দেখা যায়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা বাংলানিউজকে জানান, হরতালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরের প্রতিটি মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে ৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী, গড়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ। রান্নাঘরে যাদের গ্যাসের চুলা একটি, তারা এতদিন মাসে বিল দিতেন ৭৫০ টাকা। এখন থেকে গ্যাস বিল বাবদ মাসে তাদের ব্যয় হবে ৯২৫ টাকা। যাদের বাসায় দুই চুলা, তারা এতদিন বিল দিতেন ৮০০ টাকা। এখন তাদের দিতে হবে ৯৭৫ টাকা। অর্থাৎ খরচ বাড়ল ১৭৫ টাকা।
বাসাবাড়ির গ্যাসের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যবহার করা সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দামও বেড়েছে। সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারে দাম বেড়েছে তিন টাকা। ৪০ টাকার সিএনজি গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা।
এই অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সোমবার (১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার আধাবেলা (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত) হরতালের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এনইউ/এসএ