ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লবণাক্ততার ক্ষতি নারী ও শিশুর জীবনকে আক্রান্ত করছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
লবণাক্ততার ক্ষতি নারী ও শিশুর জীবনকে আক্রান্ত করছে বিজ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবণাক্ততার ক্ষতিকর প্রভাব সরাসরি নারী ও শিশুর জীবনকে আক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার।

তিনি বলেন, লবণাক্ততা উপকূলীয় এলাকার মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে ও তাদের জীবন অরক্ষিত হয়ে পড়ছে।

রোববার (০৭ জুলাই) ঢাকার ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিজ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের ইন্সেপশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেছা প্রমুখ। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।

কামরুন নাহার বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার। উন্নত দেশগুলো প্রচুর পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করছে। এর ফলে প্রতিনিয়তই পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা নির্দোষ কিন্তু আবার আমরাই ভয়ংকর ক্ষতির স্বীকার হচ্ছি। আমরা ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীন অবস্থার দিকে যাচ্ছি।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আমাদের জন্য বড় ঝুঁকি। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় অগ্রাধিকার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিশেষত নারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২৭৪ কোটি টাকার (জিওবি ৬৬ কোটি টাকা ও সবুজ তহবিল থেকে ২০৮ কোটি টাকা) প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দেবে  ইউএনডিপি বাংলাদেশ। খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলার (কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, আশাশুনি ও শ্যামনগর) ৩৯টি ইউনিয়নের সাত লাখ মানুষ সুবিধা পাবেন। প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারের নারী সদস্যদের জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকার সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে অভিযোজন সক্ষমতা গড়ে তোলা ও  ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের জন্য লবণাক্ততামুক্ত ও দুর্যোগ সহনশীল পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া ৩৯টি ইউনিয়নে ১০১টি নারী স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন, প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে নারী সংবেদনশীল সতর্কীকরণ ও দুর্যোগ প্রস্তুতি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।