তবে আশপাশের ছোট আকারের ইলিশের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা গুটিকয় বড় আকারের ইলিশ-ই মৎস্য ব্যবসায়ীদের এখন ‘মুনাফার’ একমাত্র ভরসা।
সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে মৎস্য আড়তে গিয় দেখা গেছে হাইমচর, চরভৈরবী ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থেকে ট্রলারে করে যেসব ইলিশ আসছে তা ছোট আকারের।
মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক মাস দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি শুরু হয়েছে। দৌলত খাঁ, রামগতি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বড় বড় ট্রলারে করে এসব ইলিশ আসছে। মূল্য অনেকটা আগের মতই।
তিনি বলেন, দুই কেজি ওজনের ইলিশ খুবই কম আসে। এলেও বড় আকারের এসব ইলিশ প্রতিমণ এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা, ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা, ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজে চাঁদপুর মৎস্য আড়তে গিয়েছি। সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন চাঁদপুরে ৪-৫টি মাছের জাহাজ ইলিশ নিয়ে ভিড়ছে। কিন্তু চাঁদপুরের নদীতে সামান্য মাছ ধরা পড়ছে। এখন বন্যার পানি নামতে শুরু করছে। আশা করছি সাগর থেকে ধীরে ধীরে ইলিশ উজানের দিকে আসবে। তখন চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
জেডএস