ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক-নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করা যাবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
সড়ক-নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করা যাবে না সভায় বক্তব্য রাখছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম অজিয়র রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

ব‌রিশাল: বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম অজিয়র রহমান বলেছেন, সড়ক ও নৌপথে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করা যাবে না। এ থেকে বিরত থাকার জন্য পরিবহন ও নৌযান চালকদের পাশাপাশি মালিকদের আরও সচেতন হতে হবে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিশেষ সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নিয়ম মেনে সড়ক ও নৌপথে পরিবহন এবং নৌযান চালানোর আহ্বান জানিয়ে ডিসি অজিয়র রহমান বলেন, সরকারি আইন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়ম অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ১৮ জুলাই ভোরে ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবত-১১ লঞ্চের ধাক্কায় সুন্দরবন-১০ লঞ্চ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু নিরাপত্তার কথা ভেবেই মিয়ারচরের চ্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেটি যদি সরু হয়, তবে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিযোগিতার প্রয়োজন নেই। পারাবত-১১ লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে সুন্দরবন-১০ এর যে ক্ষতি করেছে এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই ওই লঞ্চের চালকের বিরুদ্ধে মালিকরা ব্যবস্থা নেবেন এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।

তিনি বলেন, যার যার অবস্থান থেকে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। একে অপরের ওপর দোষ না চাপিয়ে কোরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন ও আরামদায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। টার্মিনালে যাত্রী হয়রানি করা যাবে না এবং খেয়াল রাখতে হবে ভাড়া যেন না বাড়ে।

বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে ডিসি অজিয়র বলেন, আপনারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেনো কোনো বাস চালক এক নাগারে ২৪ ঘণ্টা গাড়ি না চালায়।

সভায় জানানো হয়, বরিশাল নদীবন্দরে লঞ্চের তুলনায় টার্মিনালের জায়গা সংকট রয়েছে। তাই এক সঙ্গে ১০ থেকে ১২টি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করতে পারবে না।

সভায় স্পেশাল সার্ভিসের সময় নদীপথে বালুবাহী বাল্কহেডসহ ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা, সরু চ্যানেলে (মিয়ারচর) পাশাপাশি দু’টি লঞ্চ চলাচল না করা, নদী তীরের সিগনাল বাতিসহ সাংকেতিক চিহ্ন ঠিক রাখা এবং নদীর মধ্যে কোনো লঞ্চ না থামানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে সড়ক পথের জন্য সভার উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- ফিটনেসবিহীন মোটরযান সড়কে চালনা এবং এতে যাত্রী পরিবহন না করা, অনবিজ্ঞ ও লাইসেন্সবিহীন চালক-হেলপার দিয়ে মোটরযান চালনা থেকে বিরত থেকে ওভারলোডে যাত্রী পরিবহন না করা, চালকদের সময় মতো বিশ্রাম নিতে দেওয়া, ভাড়া ঠিক রাখা, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পুলিশ প্রশাসন আলাদা ও যৌথভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা।

এছাড়া সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নদীবন্দর, নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ঈদের আগে ও পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হবে। এসব জায়গা ঘিরে নৌ-পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, কোস্টগার্ড, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যদের পাশাপাশি স্কাউট, মেরিন ক্যাডেট, আনসার, কমিউনিটি পুলিশ ও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দুর্ঘটনা বা অসুস্থজনিত কারণে যাত্রীদের উদ্ধার ও হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে।  

নদীবন্দর ও বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বসার জন্য অতিরিক্ত যাত্রী ছাউনি নির্মাণ ও বিশুদ্ধ পানি এবং মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।  

সভায় বরিশাল নগরে ভেজাল পণ্য ও বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।