সোমবার (২৯ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয়ে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি একথা বলেন।
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল করিম এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উঠতে যাচ্ছে, ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের আগে অনেক বড় বড় গণমাধ্যমে ছাঁটাই বিষয়ে মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পদক্ষেপ নেবেন কি না- প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকায় যারা সাংবাদিক, তারা এ পেশায় না গিয়ে অন্য পেশায় গেলে সে পেশা অনেক নিরাপদ ছিল। যোগ্যতার দিক থেকে যারা সাংবাদিক তারা অন্যান্য নিরাপদ পেশায় আরো ভালো বেতনে যারা কাজ করছেন তাদের চেয়েও অনেক বেশি যোগ্যতা রাখেন।
‘এ ক্ষেত্রে আমি অনুরোধ জানাবো, অকারণে যেন কাউকে এভাবে ছাঁটাই করা না হয়। সেটিই হবে আমার অনুরোধ। সমস্ত পত্রিকা-টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। ’
ছাঁটাই না করার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে পত্রিকা ও টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন, সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বসবেন কি না- এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সঙ্গেই ইতোমধ্যে কথা বলেছি। আমি সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা বলবো, তারা করছেন। যাতে আরো এ ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যায়, আমি কথা বলবো।
‘আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি আন-এডিটেড প্ল্যাটফর্ম, যেকেউ যে কোনো সময় যেকোনো কিছু ব্যক্ত করতে পারছেন। সেখান থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যম সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে,’ মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ‘ছেলেধরা’ ও ‘বিদ্যুৎ থাকবে না’- এমন গুজব থেকে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে এ সময় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ