বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মিজানুরের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল এবং বিবাদীর পক্ষে শুনানি করেন এহসানুল হক সমাজী।
এর আগে গত ২৪ জুলাই মিজানের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনে আবেদন করেন। সেদিন আদালত জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৪ জুন মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
এরপর গত ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন ডিআইজি মিজান। কিন্তু আদালত সে আবেদন খারিজ করে মিজানকে কাস্টডিতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
২ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তখন মিজানের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকার সময় বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। গত ২৫ জুন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তকালে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/