প্রতিকারে একাধিকবার আবেদন করলেও নজর দিচ্ছে না কেউ। ফলে আতঙ্ক নিয়ে দিনাতিপাত করছে ওই এলাকার মানুষ।
জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়াপদা মোড়ের হাজীপাড়ায় এক যুগ আগে সড়কের ধারে একটি কাঁঠাল গাছকে পোল হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন পেঁচিয়ে অর্ধশতাধিক বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগের পুরাতন এ সব সম্প্রসারণ লাইন ঝড় বৃষ্টির পরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিশেষ করে গাছটি সড়কের ধারে হওয়ায় পথচারীসহ গরু-ছাগল ও অন্যান্য প্রাণী চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, এক যুগ থেকে এই সম্প্রসারণ লাইন নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। প্রতি বছর একটি বিদ্যুৎ পোলের জন্য আবেদন করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়না কর্তৃপক্ষ। তারপরেও বর্ষাকালে সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকায় শর্ট সার্কিট কিংবা নানা কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারপরেও ঝুঁকিপূর্ণ এ বিদুৎ সংযোগ লাইনের খবর কেউ রাখে না ।
মোখলেছুর, শফিকুল ইসলাম ছটাক, আব্দুল মালেক ও গোল্ডেন নামে ওই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, আমরা গত ২৯ জুলাই একটি পোলের জন্য সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের নেসকো অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করি। পরে তারা জানান, আবেদন পত্রটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এভাবে একটি পোলের জন্য দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তারা কোন কর্ণপাত করেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমান ফলবান একটি ১৫ ফুট উঁচু কাঁঠাল গাছের মগ ডালে ৪৪০ ভোল্টের তার পেঁচানো হয়েছে। আর এখান থেকেই ওই এলাকার বাড়িগুলোতে সম্প্রসারণ করা হয়েছে সংযোগ। এতে কোনভাবে ছেড়া-ফাটা তারের স্পর্শ হলে ব্যাপক প্রাণহাণী ঘটতে পারে।
এদিকে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, একটি লাইন সংযুক্ত খুঁটি থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে তবে গাছকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। তারপরেও কোনো নীতিমালার তোয়াক্কা করেননি স্থানীয় অফিসের সংশ্লিষ্টরা।
এ নিয়ে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিমুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
আরএ