ঈদ মৌসুমে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের ভরসা এই ব্যাটারি বা ইঞ্জিনচালিত থ্রি-হুইলারে থাকছে মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া ভাড়ার বোঝা!
শনিবার (১০ আগস্ট) দিনভর শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
যেকোনো গন্তব্যে যেতে উচ্চ দাম হেঁকে বসে থাকেন থ্রি-হুইলার চালকরা।
ঘরে ফিরতে হবে, এই লক্ষ্যটাই বড় হয়ে উঠে লঞ্চ, ফেরি বা স্পিডবোট থেকে নেমে আসা যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে খুব একটা চাপাচাপি করতে দেখা যায় না তাদের।
তবে স্বল্প রোজগারের যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি হয়ে উঠে বেদনার। ক্ষোভ প্রকাশ করে এ রকম কয়েকজন যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় বাড়ি ফিরতেই অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে ২০ টাকার ভাড়ার জায়গায় যখন ১০০ টাকা নেওয়া হয়। ইজিবাইকের সামান্য দূরত্বের ভাড়া শুনলে কষ্ট হয়। প্রতি বছরই ঈদ মৌসুমে এমনটা হয়ে থাকে। এটা চরম দুর্ভোগের।
তারা বলেন, ঘাট এলাকায় থ্রি হুইলার চলাচলে শৃঙ্খলা থাকা দরকার। ভাড়ার পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত।
ঢাকা থেকে শিবচরের সূর্যনগরগামী যাত্রী আহসান বাংলানিউজকে বলেন, দূরত্ব অনুযায়ী নিয়মিত ভাড়া থ্রি হুইলারে ৫০ টাকা। বাসে নেয় ৪০ টাকা। লোকাল বাসগুলো ডাইরেক্ট হয়ে গেছে। পথের যাত্রীদের উঠাচ্ছে না। এ সুযোগে থ্রি হুইলারগুলো ভাড়া হাঁকছে ২০০ টাকা। পরে দেড়শ’ টাকা দিয়ে এসেছি।
অপর এক যাত্রী বলেন, ঘাট থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে ইজিবাইক ভাড়া চাচ্ছে ৫০ টাকা। যেখানের ভাড়া ১০ টাকা। ঈদের সময় ঘাট এলাকায় পরিবহন চালকদের রাজত্ব চলে। যে ভাড়া চায়, তা দিয়েই যেতে হয়।
ইজিবাইক চালক মিলন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় ঘাট থেকে শুধু যাত্রীরা যান। ঘাটে আসা যাত্রীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে আসতে হয়। এ জন্য ভাড়া একটু বেশিই। তাছাড়া ঈদের সময় একটু বেশি উপার্জন না করতে পারলে কখন করবো?
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে থ্রি-হুইলার শিবচর, সূর্যনগর, মালিগ্রাম, কালামৃধা, উৎরাইল, শিরুয়াইল, নিলখী, শেখপুর, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে স্বাভাবিক ভাড়ার তিনগুণ আদায় করছে।
রাত পোহালেই ঈদ। রোববার (১২ আগস্ট) সকাল থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় রয়েছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র্যাব, আনসার এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম, মেডিকেল টিম।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) উত্তম প্রসাদ পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশের চার স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। নৌযান এবং পরিবহনে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পেলেও নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
টিএ/