ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘরে ঘরে চলছে কোরবানির পশুর পরিচর্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
ঘরে ঘরে চলছে কোরবানির পশুর পরিচর্যা নিজের কেনা গরুর পরিচর্যা করছেন আশিকুর রহমান

ঢাকা: রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। আর ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি করা। সোমবার যারা পশু কোরবানি করবেন তারা ইতোমধ্যেই পশু কিনেছেন। রাজধানী ঢাকায় যেহেতু পশু রাখার জন্য আলাদা জায়গা খুব কম, সেজন্য যার যার বাড়ির গ্যারেজ, সামনের সামান্য খোলা জায়গা, কেউ কেউ বাড়ির সামনের ফুটপাতে অস্থায়ীভাবে ত্রিপল আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছেন পশু রাখার ঘর। সেখানেই বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-খাসি।

রোববার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা যায়। যারা দু’দিন আগে পশু কিনেছেন তারা পশুর সঙ্গে খাদ্যও কিনেছেন।

গলায় ঝুলিয়েছেন রং-বেরঙের মালা। নিজের সন্তানের মতো কেনা পশুটিও এখন তাদের অতি আদরের। তবে এই আদরের পশুটিকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করবেন সবাই।  

কথা হলো মগবাজারের বাসিন্দা আশিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তিনদিন আগে তারা দু’টি গরু কিনেছেন। রেখেছেন বাড়ির গ্যারেজে। গরু দু’টির পরিচর্যার জন্য দারোয়ান থাকলেও তিনি নিজের হাতে খড় খাওয়াচ্ছিলেন। বাসা থেকে নিয়ে এসেছেন ভাতের মাড়। তার সঙ্গে খৈল মিশিয়ে খাওয়াচ্ছেন গরুকে। অল্প দুই/একদিনের জন্য হলেও গরুর জন্য মায়া তৈরি হয়েছে। তাইতো এত পরিচর্যা।

গরু দু’টি কত টাকা দিয়ে কিনলেন জানতে চাইলে আশিকুর রহমান জানান, একটা ১ লাখ ২৩ হাজার, অপরটি ৭৬ হাজার টাকায় কিনেছেন। তিনি বলেন, আমরা দু’দিন আগে কিনেছি। হয়তো আজ (রোববার) দাম কম হতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে কি হয় তা না দেখে বলা যাবে না।

পাশেই একজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি দু’টি খাসি কিনেছেন কোরবানি দেওয়ার জন্য। খাসি দুটোকে নিজ হাতে কাঠাল পাতা খাওয়াচ্ছেন। তিনি বললেন, সোমবার প্রথম দিনই কোরবানি দেবেন। কিনেছেন ২০ হাজার টাকায়।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনেই এক বা একাধিক গরু, খাসি বাঁধা রয়েছে। কোনোটা মালিক নিজেই পরিচর্যা করছেন, আবার কোনোটা অধীনস্তরা দেখভাল করছেন। সঙ্গে ছোট ছোট শিশুদের দৌড়াদৌড়ি তো আছেই। কিছুক্ষণ পর পর পায়খানা-প্রসাব করলেও কোরবানির গরু-ছাগল বলে কাউকে বিরক্ত হতে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।