ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকৃতির জীবন্ত গল্প দেখতে সাজেক ছুটছেন পর্যটকরা

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
প্রকৃতির জীবন্ত গল্প দেখতে সাজেক ছুটছেন পর্যটকরা

খাগড়াছড়ি: সময়ের সঙ্গে মানুষের ঘুরে বেড়ানোর উপলক্ষ বাড়ছে। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সুযোগ পেলে কখনো ছুটছে সমুদ্রের কাছে কখনোবা পাহাড়ে। তবে বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট সাজেক। যেখানে দেখা মিলবে প্রকৃতির জীবন্ত গল্প।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম একটি ইউনিয়ন সাজেক। যার আয়তন ৬শ ৭ বর্গমাইল।

রাঙামাটি জেলায় অন্তর্ভুক্ত হলেও সাজেকে যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। জেলা শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার পিচঢালা আঁকা-বাঁকা পথ দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়বে ছোট বড় হাজারো পাহাড়বেষ্টিত প্রকৃতির নিজস্ব সৌন্দর্য্য।

এমনিতে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। সে আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলেছে সাজেক উপত্যকা। যেখানে শীত বর্ষা দুটোই সমান উপভোগ্য। কোথাও ঘনকালো মেঘ, কোথাও বৃষ্টি, কোথাও আবার রোদের খেলা চলে সমানতালে। বৃষ্টির পরবর্তী সময় দেখে মনে হতে পারে শীতের ঘন কুয়াশা ছেয়ে গেছে চারপাশ।

সাজেকে আপনার চারপাশে ভেসে বেড়াবে মেঘ

পূর্ণিমার রাতে রুইলুই পাড়ার হেলিপ্যাড কিংবা কংলাক পাড়া থেকে ছোট বড় পাহাড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকায় উপর চাঁদের অকৃপণ আলো বিলানো দেখে ঈর্ষান্বিত হতে পারেন যেকেউ। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮শ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত স্পটটি আপনার সফর নিশ্চিত ষোলআনা পূর্ণ করবে। সাজেকের রুইলুই পাড়ার পূর্ব দিকে তাকালে চোখে পড়বে মিজোরামের লুসাই পাহাড়। আর সাজেক সময়ে বোনাস হিসেবে থাকছে হাজাছড়া ঝরনা।

সাজেক’র নিরিবিলি রিসোর্টের মালিক পূর্ণ বরণ চাকমা বলেন, পুরো রিসোর্ট একমাস আগ থেকেই বুকিং। নতুন করে যে সব পর্যটক আসছেন তাদের রুম দিতে পারছিনা। অনেক দিন পর সাজেকে এমন পর্যটকে ঠাসা বলেও জানান তিনি।

রুইলুই মৌজার হেডম্যান লাল থাংগা লুসাই বলেন, সাজেকের ঘরে বাইরে পর্যটক আর পর্যটক। আমার বাসাতেও একটা দল থাকছে। ঈদের কয়েক দিন এই ভিড় থাকবে বলেও জানান তিনি।

কিভাবে যাবেন
ঢাকার কমলাপুর বা ফকিরাপুল, কলাবাগান, থেকে এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, সেন্টমার্টিন, শান্তিসহ আরো বেশ কিছু পরিবহনে খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। ভাড়া ননএসি ৫২০ টাকা আর এসি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা। সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। এছাড়াও চট্টগ্রামের অক্সিজেন ও কদমতলী থেকে খাগড়াছড়ির গাড়ি পাওয়া যায়। ভাড়া ১৭০ টাকা। সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।

খাগড়াছড়ি নেমে শহরের বাসস্টেশন থেকে জিপ (চাঁদের গাড়ি) রিজার্ভ করে সাজেক যেতে লাগবে আড়াই ঘণ্টা। ভাড়া কম করে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। সংখ্যায় কম হলে শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়েও যেতে পারবেন। ভাড়া পরবে ৩ হাজার টাকার মতো। এছাড়াও ভাড়ায় মোটরসাইকেল করেও আপনি সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন
সাজেকে থাকার জন্য রয়েছে কটেজ। এখানে থাকতে হলে আগে থেকেই বুকিং দিতে হবে। এছাড়া স্থানীয় পাহাড়িদের বাসায়ও আপনি থাকতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।